চাকুরীর ইন্টারভিউয়ে যে বিশেষ ভুলগুলো করবেন না
ছোট-ভুল একবার-দুবার ঠিক আছে কিন্তু ইন্টারভিউতে বসে এই ছোট-ভুলের সংখ্যা বেশি হয়ে গেলেই তখন আপনার ব্যাপারে নিয়োগকর্তাগণ নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে পারে, যা আপনাকে নিয়োগ-সিদ্ধান্তে বাধার কারন হয়ে দাড়াতে পারে। নিম্নে সেগুলোর ব্যাপারে পয়েন্ট-আউট করা হলো -
কেন সন্তানকে "অভাব" শিখাবেন
ইন্টারভিউয়ে যে বিশেষ ভুলগুলো করবেন না
- দেরিতে উপস্থিত হওয়া।
- যথাযথ পোশাক না পরা।
- ফোন সাইলেন্স না করা।
- ফোন আসলে আবার ফোন ধরার অনুমতি চাওয়া।
- অফিসের সুযোগ-সুবিধা, ছুটি-ছাটা সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন করে বসা।
- Previous Company কিংবা present company এর ব্যাপারে কোনরূপ নেতিবাচক মন্তব্য করা।
- ইন্টারভিউ দিতে আসা কোম্পানির ব্যাপারে অজ্ঞতা প্রকাশ করা (যেটা সাধারনত গুগলিং না করে গেলে হয়)।
- ইন্টারভিউ দিতে আসা কোম্পানির ব্যাপারে অবজ্ঞা প্রকাশ পায় এমন কিছু বলা।
- নিয়োগকর্তার উত্তরে প্রতিটি কথা সংক্ষিপ্ত ও শিরোনাম-টাইপে বলা। ব্যাখ্যামূলক উত্তরে না যাওয়া।
- দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করা।
- চোখে চোখ না রেখে কথা বলা কিংবা কথা বলার সময় চোখ সরিয়ে ফেলা।
- নিয়োগকর্তার প্রশ্নে কি চাচ্ছে তা বুঝতে পারা, না পারলে আবার জিজ্ঞেস করে উত্তর দেয়া।
- প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া।
- প্রশ্নকর্তার কথায় গুরুত্ব না দেয়া কিংবা তাকে প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উত্তর শুরু করে দেয়া।
- প্রশ্নের ভুল অনুমান করে উত্তর দেয়া।
- সঠিকভাবে উত্তর না দেয়া।
- উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে আমতা আমতা করা।
- খুব লো-টোনে/ভয়েসে কথা বলা।
- খুব বেশি আত্ববিশ্বাস দেখানো।
- নিজের কোন গুনের/বিশেষণের সুপারলেটিভ ফর্মে থাকার কথা স্বীকার করে, আবার সে ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবহুল কোন উদাহরনের অবতারনা না করতে পারা।
- বার বার এক্সকিউজমি / ক্ষমা চাওয়া।
- “এখন সব ভালো চাকরি মামা-চাচার জোরেই হয় কিংবা ভালো-চাকরি ত সোনার হরিণ…” –এরকম বিশ্বাস পোষণ করা। এটা একটা অটো-ডিমোটিভেশনাল টুলস যা আপনার ১০০% যোগ্যতা থাকার পরেও চাকরিটি না হওয়ার একমাত্র কারন হতে পারে।
- অসম্পুর্ন সিভি, ফরমেট অনুযায়ী সিভি না-সাজানো থাকা। আবার অনেক সময় সিভিতে ছবিও থাকে না।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না আনা।
- ‘আমার জবের তেমন কোন দরকার নেই, জব না করলেও দিন চলে যাবে।’ –এইসব ভাইবে কথা বলার অপর নাম নিজের পায়ে কুড়াল মারা।
- নার্ভাস হওয়া যাবে না।
- করুনা করে কথা বলবেন না বা এমন করে কথা বলবেন না যাতে করে আপনি তাদের কাছে অনুনয় বিনয় করছেন বোঝা যায়।
- কথা বলার সময় শুধু একজনের দিকেই দৃষ্টি ফিক্স করে না রাখা।
- ড্যাম-কেয়ার মনোভাব আপনার এটিচ্যুডে প্রকাশ পাওয়া।
- একেবারে গোমড়োমুখো হয়ে থাকা।
দ্বিমত থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে চাইলে আশা করি কমেন্ট করে জানবেন।